।। বাক্‌ ১১৬ ।। সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়





উদাহরণ :

ক্ষমা চাও জলের ছায়ায়, অগোচরে
মুষ্ঠির জীবন্ত রাগ, বালিঘড়ি, সময় পাতাল
আঙ্গুলে আঙ্গুলে চরা বিদ্যুৎ সন্মোহ
সে মায়ায়, ব্যথা যেন অসঙ্কোচে ঝরে
ব্যথা যেন নেমে যায় তাপ বেয়ে, অতলে অতল
যেন নিরুচ্চারে কাঁদে, মাংসে যেমন সেঁকোবিষ
পূণ্যপক্ষে ধাতু হয়, শুন্যবক্ষে আত্মার আশিস --

জল হয়ে ঝরে
ক্ষমা চাও, জলের গভীরে অগোচরে





উদাহরণ : এক

আমাকে কাটো। ক্ষত করতে পারা সার্থকতার বোধ দেয়। আক্রমণ করো। রক্তরস যুগিয়ে গিয়েছি। দশনে রক্তচিহ্ন মেখে আমিময় হও।
তোমার আগে অনেকে এসেছে। তোমার পরে অনেকে আসবে। তুমি একটি ফুলস্টপ হতে পারো। অথবা বিসর্গ।
আমার মধ্যে ভাইরাস হয়ে বাস করো। আমি অ্যান্টিবায়োটিক নিই না। শুধু তোমার জন্মদানক্ষমতা ছেদ করে দিই। উপনিবেশ তুমি করবে না। কেউ করে নি। লীন হবে না। কেউ হয় নি।
প্রতীক নেই। উপমা নেই। সরাসরি নাও।
টলোমল করে। ক্ষণিক। ক্ষণ, যাহা হয় ইলাস্টিক। ভার, যথাসময়ে সর্বত্র সুষম হয়। সাম্য, দণ্ড হাতে সমগ্র ঘুরে আসে। তারপর ভার ও সাম্যের দ্বন্দ্ব হয়। দ্বন্দ্ব মানে ঝগড়া। দ্বন্দ্ব মানে মিলন।
তারপর ভার্জিন একটা ইনিংসের গায়ে শুন্য লেখা হয়


.
উদাহরণ : এগারো

ঘুম এক অন্যজন্মের নাম। যেখানে ইউনিকর্ণ পক্ষীরাজ বর্ষামেদুর মাঠের ভেলভেট পোকারা সম্ভাবনা হয়ে অবস্থান করে, যেমন পুরুষের দেহের ভিতর অবস্থান করে তার সন্তান। সমুদ্রের দিকে বেলাভূমি অগ্রসর হয়, গুল্মের কাছে বিষাদ জানায় পাথরবাচ্চা। পাতাদের শরীর বালির ঘর ভাঙতে ভাঙতে ভরে ওঠে। ব্যালকনিতে কোনোদিন বাচ্চা পাখি বসে ঠুকে ঠুকে পোকা খাবে, এই দৃশ্যকল্পনায় পাতাজন্ম গাভীসুলভ স্নেহদৃষ্টি অর্জন করে।
নর্দমার পাশে উপচে পড়া ডাস্টবিন পেরিয়ে যায় মোহবিলাস নামক একটি ডাকনাম





1 comment:

  1. এক আর এগারোর মাঝে অন্য উদাহরণগুলি কই?

    ReplyDelete