দুটি কবিতা : সরদার ফারুক
সীমানার বাড়ি
সীমানার বাড়িগুলো বিপদেই ছিলো, সেখানে টিনের বোর্ডে
তুলি দিয়ে লেখা হতো- ‘ইহা গৃহস্থের বাড়ি’
তবুও কখনো দুএকটা দুর্ঘটনা-- আকণ্ঠ মাতাল কেউ
ভুল করে টোকা দিতো দরোজায়
তুলি দিয়ে লেখা হতো- ‘ইহা গৃহস্থের বাড়ি’
তবুও কখনো দুএকটা দুর্ঘটনা-- আকণ্ঠ মাতাল কেউ
ভুল করে টোকা দিতো দরোজায়
পাশের বাড়ির থেকে নুপুর-নিক্কন, হাসির হররা
এ বাড়ির কিশোরীর খোলা বই, ঘরের কাজের খাতা
কতোবার এলোমেলো করে দিলো
‘সাইয়া দিল মে আনা রে…’ কানে ভেসে এলে পায়ে নাচের জোয়ার
এ বাড়ির কিশোরীর খোলা বই, ঘরের কাজের খাতা
কতোবার এলোমেলো করে দিলো
‘সাইয়া দিল মে আনা রে…’ কানে ভেসে এলে পায়ে নাচের জোয়ার
‘ভদ্র পাড়া দেখে উঠে যেতে হবে’--
এমন চিন্তায় কেটে গেছে গৃহীদের দিন ও বছর
এমন চিন্তায় কেটে গেছে গৃহীদের দিন ও বছর
নাটক
কৈশোরেই নাটকের নেশা। আমরা তখন বইয়ের দোকানে
‘নারীবিবর্জিত’ নাটক খুঁজেছি
‘নারীবিবর্জিত’ নাটক খুঁজেছি
কেউ কেউ মিহি-কণ্ঠ ছেলেদের নামাতে বলেছে
মুখে আর হাতে জিংক অক্সাইড, বুকে একজোড়া
নারকেল-খোল-- আর কি তেমন কিছু লাগে?
মুখে আর হাতে জিংক অক্সাইড, বুকে একজোড়া
নারকেল-খোল-- আর কি তেমন কিছু লাগে?
নারী চরিত্রের এমন সংকটে কতোদিন কেটে গেলো!
এখন কিছুটা জোড়াতালি শিখে গেছি
কারো উড়ন্ত ওড়না, বারান্দায় ভেজা অন্তর্বাস,
বাইকের পেছনের উপচানো ঢেউ একত্রে মিশিয়ে
বানিয়ে তুলেছি মুগল সম্রাজ্ঞী,
কখনো বা সিরাজের আলেয়া বেগম
এখন কিছুটা জোড়াতালি শিখে গেছি
কারো উড়ন্ত ওড়না, বারান্দায় ভেজা অন্তর্বাস,
বাইকের পেছনের উপচানো ঢেউ একত্রে মিশিয়ে
বানিয়ে তুলেছি মুগল সম্রাজ্ঞী,
কখনো বা সিরাজের আলেয়া বেগম
খুব সুন্দর ফারুকদা।
ReplyDelete