বুম্বার জার্নাল : দ্যাট মোমেন্ট হোয়েন মাই স্নিকারস্ টাচড দ্য প্ল্যাটফর্ম
১লা জুলাইঃ
আমার টেবিল জুড়ে এখন ওষুধের
সাম্রাজ্য। মাসের শুরুটা হলো জ্বর দিয়ে। ১০৪°। তার সাথে আগে থেকেই চুলকানি ছিল সারা শরীরে। ইনফেকশন হয়ে
গেছে। সারা শরীর জুড়ে জ্বালা। অসুখ। পুনরায় 'ইনফেকশন' শব্দটি
উচ্চারণ করি, 'ইনসেপশন' সিনেমা মনে
পড়ে। কোনও একটি শব্দ কি প্রবল ভাবে নাড়া দিতে পারে আমাদের মস্তিষ্কে , তা ভাবি। আরও একবার তাকাই টেবিলে ওষুধের দিকে। ECOSCAB নামে যে লোশনটি দিয়েছেন ডাক্তার তাতে আরোও একটি শব্দ লেখা আছে। সেটিও বেশ
বড় হরফে লাল রঙে, Poison। আমার হাতেরই সামনে গরল। এখন আত্মহত্যা
প্রবন চিন্তাভাবনা মাথায় ঢু মারলে মুশকিল। শুধু ঐ শব্দটা, পয়জন, কতটা নেগেটিভ থট্ কে প্রশ্রয় দিয়ে দিল!
ওটা সতর্কবার্তা, জানি, তবুও তো মৃত্যুরই কথা। শরীর দুর্বল থাকলেই কি এমন চিন্তা মাথা ভীড় করে?
বোতলটা কাছে টেনে মুটকি খুলে একবার গন্ধ শুঁকলাম। আমার মৃত্যুর গন্ধ,
আবার অপরপক্ষে আমার সুস্থতার গন্ধ।
২রা জুলাইঃ
স্বপ্ন -
একটা সাদা ধবধবে বিছানা। এতটাই সাদা
যে মনে হচ্ছে তা থেকে আলো বের হয়। আমার মাথাটা কেমন ভার ভার। কষ্ট কষ্ট।
তবুও উঠে এলাম। দরজার বাইরে বেরোলাম। একটা মুর্গী উড়ে পালাল।
পিছনে ঝোঁপটা নড়ছে। একটা হলদে ডোরাকাটা লেজ শিকারের আস্ফালন বোঝাচ্ছে নিজস্ব স্টাইলে।
ভয়ে আমার সমস্ত শরীর শুকিয়ে গেলো। আমি চটপট পুনরায় ঘরে ফিরে জানালা বন্ধ করতে শুরু
করলাম, দেখি বাঘটা এবার এদিকেই আসছে, আমারই ঘর লক্ষ্য করে। বুকের মধ্যে দমাস দমাস শব্দ পাচ্ছি। নিজেকে সুরক্ষিত
মনে না হওয়ায় বারান্দায় জিম করবেট সাহেবকে বসাবো ঠিক করলাম। কিন্তু এখন সময় নেই। জানলা
বন্ধ করতে করতেই মনে এলো আরে! আমিতো দরজাই বন্ধ করিনি!
সঙ্গে সঙ্গে দরজা বন্ধ করতে এগোতেই দরজা দিয়ে দেখি একটি কুকুর প্রাণভয়ে
বারান্দায় লাফিয়ে উঠেছে,
আর তার পিছনে বাঘ। কোনওরকমে দরজাটা চাপিয়ে দিয়ে তাতে পিঠ দিয়ে দাঁড়ালাম।
ঘাম হচ্ছে। খুব ঘাম। গলার কাছে একটা কি যেন কুন্ডলী পাকিয়ে পেটে নেমে গেলো। তারপরই
দেখি, যে জানালা বন্ধ করতে করতে মাঝপথে দরজা লাগাতে গেছিলাম
সেই জানালার শিকে কে যেন নাক ঠেকিয়েছে - একটা গরগর শব্দ হচ্ছে,
আমি দরজার কোণে থাকা ঠাকুর্দার হেতাল লাঠিটা
নিয়ে যেমনি বসিয়েছি জানালায়, অমনি
ঝরঝর করে কাচ ভেঙে পড়লো, আর ওদিকে
দরজাটাও আমি লাগাইনি, চাপিয়ে দিয়ে ঠেসে দাড়িয়ে ছিলাম শুধু।
এই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে কি করব মাথায় আসছেনা। পরমুহুর্তেই আস্তে আস্তে নিজে থেকেই
দরজাটা খুলতে শুরু করলো, সেকি আওয়াজ ক্যাঁয়াআআআআআআআ
--- ওপাশ থেকে কে যেন ঠেলছে ... ভয়ে মাথাটাই ফেটে পড়বে আমার। নিজের
ঘরে নিজেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তারপর হঠাৎ করেই দৃশ্যটা বদলে
গেলো, আমি নিজের ঘর থেকে ছিটকে নিজেরই ঘরে আছড়ে পড়লাম।
৫ই জুলাইঃ
গত চারদিন বেশ কতগুলো সিনেমা
দেখলাম। ভ্যারাইটিস। ইউটিউব থেকে নামিয়েছিলাম। জ্বরের মধ্যে থেকে বেশ লাভ হলো। অনেক
ভালো ভালো লেখার (আমার মনে হয়েছে 'ভালো') প্লট-থট্ মাথায় এসছে। কিন্তু লেখাগুলো আর লেখা
হয়ে উঠছেনা। যেমন স্বপ্ন আমি কোনোদিন ঠিকমতো লিখে উঠতে পারিনি। যাইহোক, সিনেমা গুলোর নাম নোট করে রাখা ভাল। বলা যায়না, পরে হয়তো এই নাম দেখে দৃশ্য মনে পড়বে আর তা থেকে লেখা। বেসিক্যালি লিখতে
তো আমায় হবেই - সিনেমা গুলোর রেশ আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নেবে,
এ আমি জানি। অহেতুক সূর্য প্রণাম করে কাজ নেই, তারা তো শরীরেই
ছড়িয়ে পড়ে।
***********************
যেসব সিনেমা গত কয়েকদিনে
দেখলাম তার লিস্ট (অনেকটা মুদি দোকানের মত)
১/ সীমাবদ্ধঃ সত্যজিৎ
রায়
২/ টু (শর্টফিল্ম): ,, ,,
৩/ উনিশে এপ্রিলঃ
ঋতুপর্ণ ঘোষ
৪/ দোসর্ঃ ,,
,,
৫/ শজারুর কাঁটাঃ শৈবাল মিত্র
৬/ ইন্টারভিউঃ মৃণাল
সেন
৭/ ওপেন টি বায়োস্কোপঃ
অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়
৮/ ব্যোমকেশ ও চিড়িয়াখানাঃ
অঞ্জন দত্ত
৯/ দ্যা ডার্টি পিকচারঃ ?? ??
শেষের সিনেমাটার পরিচালকের
নাম মনে পড়ছেনা। নাকি দেখিইনি। তবে সিনেমা তো দেখেছি। এখন আপাতত থাক। লিস্ট জারি
থাকবে। মনে পড়লেই টুকবো। পালাবে কোথায়! এই প্রসঙ্গে বিজয় জেঠুর একটা কবিতার অংশ
মনে পড়ছে -
"মনকে মনের
কথা মনে মনে বলি/কখনো মন যেন বাজারের কানাগলি"
ঋতুপর্ণ ঘোষের একটা লেখায়
পড়েছিলাম ,'সত্যজিৎ প্রথম শিখিয়েছেন ক্যামেরা দিয়ে গল্প বলা যায়। চাইলে কবিতাও।' এই
কথাটা আমি খুব মানি।
৮ই জুলাইঃ
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে
দেখি বৃষ্টি হচ্ছে। ঘরটা আবছা আবছা আঁধারে ভরা। জানালাটা খুলে দিতেই জলজ বাতাসের ছাঁটে
প্রাণ জুড়িয়ে গেলো। বাইরের তরুণ কচুপাতায় যেভাবে বর্ষাকাল জমা হয়েও
হতে পারছেনা তা চোখ এড়ালোনা। পাশে একটা সিগারেটের প্যাকেট পড়ে।
টপটপ করে কচুপাতা থেকে জল পড়ছে ওটার ওপর। কে একটা নৌকা ছেড়েছিল নালায়, সেটা এসে ঠেকেছে
এখানে। ওর যাত্রাপথ শেষ। মনে হলো যদি ওকে বলতে পারতাম, "তুই চলে যা যেভাবেই হোক আজকে / তরুণী
নৌকার স্বপ্ন
নিয়ে বাঁচ গে" ।। সন্ধ্যায় 'M' একবার লাইব্রেরী যেতে বলেছে। ওর সাথে
ছাতা থাকা জরুরী। সকালই বলে দিচ্ছে এ বৃষ্টি আজ সারাদিন। আমার কোনো নিজস্ব ছাতা নেই।
ওর বিকেলে ওর ছাতাতেই ভিজবো, এখনো ভিজছি বৃষ্টির ঝোড়ো ছাঁটে।
হাওয়া দিচ্ছে। জানালাটা একবার সশব্দে বন্ধ হচ্ছে আবার খুলে যাচ্ছে। এই বৃষ্টির বাড়ি
থেকে তুমি বেরিয়ে এসো। লাইব্রেরী এসো আজকে। আমাদের মেলামেশা শুরু হোক আবার লুকোনো টাকার
মত স্যারিডন বাদ দিয়ে।
লিখে রাখা যাক একটা লেখা।
বা নোট। বা আমার দর্শন
(দর্শন মৌলিক নাও হতে পারে, হিতে বিপরীত
যেন না হয়)
নোটঃ কুকুর এক মহা ব্যাস্ততর প্রাণী।
উহারা কখনো হাঁটেনা।
'ছোটে না কি হাঁটেনা', হ্যাঁ উহারা কেবলই
ছোটে। দৌড়য়। স্থির ভাবে হেঁটে যাওয়া সারমেয় লক্ষ্য করা অত্যন্ত দুর্লভ। এ যেন সোনার
পাথর বাটি। তাই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছি যে কুকুর এক মহাব্যস্ততর প্রাণী (ব্যাস্ত'তম' যেহেতু মানুষ)
। উহারা কখনো হাঁটেনা। রাস্তার যেকোনো নেড়ি বা দেশী বা স্বদেশী কুকুর
তীব্র ভাবে পর্যবেক্ষণ করিলেই ইহার প্রমাণ মিলিবে। ইহা জলজ্যান্ত
সত্য অভিজ্ঞতা বলিয়া নোট রাখিতেছি।
ওহ্ লাইকা, ক্যান ইউ হেয়ার
মী?
গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট
এ গিয়েছিলাম। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের 'উপন্যাস সমগ্র ১' ঘাটাঘাটি করছিলাম আর গল্প করছিলাম। বইটির প্রচ্ছদে একটি হাতের দাগ। রক্তাক্ত।
আমি কথা বলার ফাঁকে নিজের পাঞ্জাটা ঐ ছবির মধ্যে বসিয়ে মিলিয়ে দেখেছি। হুবহু মিলে গেলো। অথচ
এসমস্ত কিছুই আমি কথা বলতে বলতে করছিলাম। মানুষের ব্রেন কি একসঙ্গে অনেক কিছু করবার
ক্ষমতা রাখে? কিন্তু আমায় যদি এখন বলা যায় কি কথোপকথন হয়েছিল
সে সময় তা লিখে দাও, আমি পারবোনা। আমার থট্ প্রসেসে রেজিস্টার
করে বেরিয়ে গেছেন 'আমি ও বনবিহারী'র রক্তাক্ত পাঞ্জা।
১৬ই জুলাইঃ
'I' ফোন করেছিল। ভিটামিন এর ওপর যে
assignment টা স্যার করতে দিয়েছেন সেটা নাকি জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট
শনিবার অর্থাৎ ২২শে জুলাই। 'I' ফোন করে আমায় জানিয়ে রাখলো।
কি যে ভালো লাগছে! জানিয়ে দেওয়ার জন্য নয়, ওর ফোন করার জন্য। ওর মিষ্টি রিনরিনে গলার স্বর শুনতে পাওয়ার জন্য।
২৩শে জুলাইঃ
‘খারাপ’
শব্দটির মধ্যে
যতটা নেগেটিভিটি থাকে ঠিক এর সমার্থ শব্দ 'ভালো না'র মধ্যে
ততটা থাকেনা। একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলেও এতে 'ভালো'র পজেটিভিটি লেগে থাকে। যেমন 'শান্তি' শব্দটি যতটা পজেটিভ থট্ কে রেডিয়েট করে 'যুদ্ধ
নয়' শব্দ ততটা করেনা। করা যায়না। এতে যুদ্ধ লেগে রয়েছে। শব্দ
ব্যাবহারেও পজিটিভিটি - নেগেটিভিটি পৌঁছয়। আমাদের ব্রেন সব
রেজিস্টার করে নেয়। If you can stay positive in a negative situation, you win. So always
be positive. কেমন বাণীর মত শোনালো কি? যাকগে,
কি আর করা।
২৬শে জুলাইঃ
আজ পুরনো খাতা ঘাঁটাঘাটি
করছিলাম। কতগুলো লেখা বেরোলো। যেগুলো অপ্রকাশিত। একসময় একটা পাক্ষিক পত্রিকায় সংবাদ
রচনার কাজ করতাম। চাকরি। তারপর দুম করে একদিন কাজটা চলে গেলো। প্রতিমাসের হাতখরচ বন্ধ।
চাকরি চলে গেলে একজন মানুষের কতটা কষ্ট তা প্রথম অনুভব করেছিলাম। আমার তো সারাদিন বাড়িতে
বসে পড়তে-লিখতে ভালোলাগে। এভাবেই যদি জীবন কাটতো? একথা বাবাকে
বলা যায়না, মা'কেও না। ছেলে কাজ করতে
চায়না শুনলে তারা কি করবেন? আমার আলস্য কাটেনা বলে আজ পুরনো
বেঁচে থাকা গুলোকে একটু নাড়াচাড়া করলাম। শেষ মাসের কিছু লেখা জমে আছে। ওগুলো ম্যাগাজিনটি
নেয়নি। রিফিউজ করেছিল। সংবাদ রচনায় অমন রম্যতা কোন সংবাদ পত্র করেনা। ঐ কাগজেই ছিল।
ঐসমস্ত লেখার একদল পাঠকও তৈরী হচ্ছিল। বাবার এক বন্ধু বলেছিল, ও এত সুন্দর মজা করে নিউজ লিখতে জানে যখন তখন ওর অনেক বড় জায়গায় যাওয়া উচিৎ,
এখানে পড়ে আছে কেন? কোলকাতা গেলেই ওর ব্রাইট
ফিউচার। এমন কথা অনেকেই বলেন। কেন? জলপাইগুড়িতে থেকে কি আমি আমার ব্রাইটনেস
বাড়াতে পারবোনা? কিন্তু ব্রাইটনেস সত্যিই বাড়েনি। লিখতে লিখতেই
একদিন চাকরীটা চলে গেলো। ভাগ্যিস আমার কোনো 'বেলা বোস'
নেই! কিন্তু সেইসব অপ্রকাশিত লেখাগুলো আছে।
আমি খাতায় লেখাগুলোর ওপর স্নেহের হাত বুলোলাম। কত পরিশ্রম করে এগুলো লিখেছিলাম একসময়।
অথচ কেউ জানলোনা। আমি পত্রিকাতেও স্বনামে লিখিনি কোনোদিন। লিখতে পারিনি। ম্যাগাজিন
হাউসের নির্দেশ তাই ছিল। আমি আমার পাঠকদের জানাতে পারতামনা ওগো দেখো, এই যেগুলো পড়ে তোমরা আনন্দ পাচ্ছো - এ কিন্তু আমার
লেখা --- কতিপয় দু-দশ জন ছাড়া কেউ
কোনোদিন জানেনি জানলোও
না যে ওগুলো আমার রচনা। তাই এগুলো শুধুই বুম্বার লেখা। লিখে লিখেই বাবাকে শোনাতে যেতাম।
বাবা ভালো বললে বুঝতাম গোটা পৃথিবী ভালো বলবে। বাবার ভালো বলা লেখা গুলো পড়ে আছে। কয়েকটি
এই ডায়েরিতে তুলে রাখতে হবে। ঐ খাতাটা পুরনো জিনিসের সাথে বিক্রি করে দিতেও পারি। আমার
এখন একফোঁটা হাত খরচ নেই।
৩০শে জুলাইঃ
হোস্টেল ছেড়ে দেব এই মাসে।
বাড়ি থেকেই যাতায়াত করবো কলেজে। হোস্টেলের বিল বাবার পক্ষে আর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এই কদিন চুটিয়ে হোস্টেলে থেকে নিচ্ছি। দেওয়াল ভরিয়ে লিখে রাখছি অদ্ভুত কিছু সত্যি কথন।
হোস্টেলের মাঠে যে ছাগলটি চড়ে বেড়ায় তাকে আমরা নাম দিয়েছিলাম 'চৈতালী'। এখন তার ছোট্ট দুটি শিঙে লোম লেগে আছে। একটু আগেই প্রাণভরে
পিঠ চুলকিয়েছে মালুম হয়। রোদ এসে লাগছে সেই শিঙের লোমে। একটা অন্যরকম প্রতিফলন লক্ষ্য
করা যাচ্ছে। যেন জল তৃষ্ণা পেয়ে যাবে। জলের কথায় মনে পড়লো, সেদিন বাড়ি ফিরছি,
ঠাঁঠা পোড়া রোদ। এক গৃহস্থ বাড়ির সামনে টাইমকল। টাইম হয়ে গেছে। মাতৃস্তনে
যেভাবে দুধ চলে আসে সেভাবেই এসে গেছে এই জল। কিন্তু কল খোলা। বারান্দায় বসে একজন তন্দরুস্ত
লোক হাতপাখার হাওয়া খাচ্ছে আর দুরন্ত রোদ ও রোড লক্ষ্য করছে, তার অমন ইটের ভাঁটার মত চোখে ওভারলুক হয়ে যাচ্ছে সশব্দে নির্গতমান জলের
ধারা। আমি হাঁটতে হাঁটতে কলের সামনে গিয়ে কলটা বন্ধ করলাম। একটা অদ্ভুত ভালো লাগা সারা
শরীরে ছড়িয়ে পড়লো। মুখ ঘুরিয়ে একবার সেই লোকটার দিকে তাকালাম। তার হাতপাখা বন্ধ হয়ে
গেছে। সে জুলজুল করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যেনবা চিড়িয়াখানায় নতুন জানোয়ার দর্শন করছেন।
ফের হাঁটা লাগালাম বাড়ির পথে। লোকটাকে দেখে আমার what's app এ 'A' এর সাথে লেখোপলেখন মনে পড়ছিল ---
আমি - (একটা ছবি পাঠিয়ে)
এই ছবিটি আঁকো।
A - আমাকে যে ল্যান্ডসকেপ
টানেনা, শুধু মানুষ দেখি, এক্সপ্রেশন
আর ভূগোলের মত শরীরের মাপ টানে।
আমি - ঐ যে এক্সপ্রেশন
বললে, ওটা নিয়ে একটা গল্পের প্লট আমার মাথায় ঘুরছে,
লিখতে বসার অপেক্ষা জাস্ট।
A - হ্যাঁ,
এক্সপ্রেশন, মুখের প্রতিটি ভাঁজ
- চোখের নিচের কালি - ফাঁটা ঠোঁট যে কত কিছু
বলে ... সেটা না ধরে ছাড়ি কি করে?
এই লোকটাকে নিশ্চয়ই 'A' ছাড়তোনা। কিন্তু
যাক সে কথা। কোথাকার জল কোথায় গড়ায়। শুরু করেছিলাম ছাগলের শিঙ থেকে, সো পুনঃ মুষিকঃ ভবঃ।।
ঐ সবাই থালা বাজাচ্ছে।
লেখা বন্ধ করতে হবে।
একটা কমেন্ট লিখলাম। পোস্ট করার আগে চলে গেল। :( আবার চেষ্টা করি। সেই ফ্লোটা আর হবে না।
ReplyDeleteলেখাটা লাগল খুব। ভাল খারাপ আসে না এসব লেখায়। আমার কথা। আমার চিন্তা। আমি পারি না। কেউ পারে। লিখে ফেলতে। তাই লাগে। খুব লাগে। তোর একজোড়া চোখ আছে। কাজে লাগাস। আর এই জনরা আমার প্রিয় অন্যতম। আদতে প্রথাগত কোনও ঘরানায় এদের ফেলাই যায় না। তাইই বোধহয় টান। তবে আরও কিছুটা এডিট হয়তো করার জায়গা ছিল। সে এডিট কোনওদিনই শেষ হওয়ার জিনিস না অবশ্য। এটুকু ক্রিটিক্যালি বললাম। কিন্তু মুগ্ধদাগ একবার লেগে গেলে ক্রিটিসিজম অহেতুক জিনিস। তুই লেখ। লিখে যা...
-হ্যাপিদা
ভালোবাসা হ্যাপী দা।
Deleteনামগুলো শুধুমাত্র একটি করে alphabet লেখার কারণ টা ঠিক বুঝলাম না
ReplyDeleteসব চরিত্র কাল্পনিক নয় বলে
Deleteখুব ভালো হয়েছে রঙ্গন।
ReplyDeleteধন্যবাদ সৌমনা দি
Deleteporte valo laglo,,,,,bhai.... cinema gulo interesting ,kukur er casetao....
ReplyDeleteধন্যবাদ অভিষেক দা
Deleteখুব সুন্দর লাগলো।
ReplyDeleteধন্যবাদ
Delete